জার্মানির ফেডারেল পরিবেশ, প্রকৃতি সংরক্ষণ, পারমাণবিক নিরাপত্তা এবং ভোক্তা সুরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ১ নভেম্বর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,জার্মান পরিবেশ মন্ত্রীচীনের তাইক্যাং শহরে অনুষ্ঠিত সপ্তম জার্মান-চীন পরিবেশ ফোরামের সাফল্যের প্রশংসা করেন স্টেফ লেমকে।লেমকে এবং তার চীনা সহকর্মীরা একমত যে পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে জার্মানি ও চীনের মধ্যে ভাল সহযোগিতা আরও গভীর এবং প্রসারিত করা উচিতপ্লাস্টিক বর্জ্যের বিরুদ্ধে লড়াই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জার্মানি-চীন পরিবেশ ফোরাম দুই দেশের মধ্যে পরিবেশ নীতির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক প্ল্যাটফর্ম এবং ২০০৩ সাল থেকে নিয়মিতভাবে এটি অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।এই ফোরামের সময়, রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক এবং পরিবেশগত সংস্থাগুলির প্রতিনিধিরা পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণের প্রচার করার জন্য টেকসই অর্থনৈতিক মডেল এবং সমাধান নিয়ে আলোচনা করেছেন।

লেমকে বলেন, "আমি আশা করি চীন বৈশ্বিক সংকট কাটিয়ে উঠতে একটি কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করবে। চীন ছাড়া আমরা জলবায়ু সংকটকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো না।আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং প্লাস্টিক বর্জ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চীনের অবদানও অপরিহার্যতাইক্যাং-এ পরিবেশ ফোরামে ফলপ্রসূ ও সমস্যা সমাধানের ওপর ভিত্তি করে আলোচনা হয়েছে বলে আমরা আনন্দিত।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জার্মান সরকারের চীন কৌশলতে জোর দেওয়া হয়েছে যে, পৃথিবী যে সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে, তার মোকাবিলায় চীনের মূল ভূমিকা রয়েছে।ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে, জার্মানি, তার শক্তিশালী রাসায়নিক ও প্লাস্টিক শিল্পের সাথে, বিশ্বব্যাপী পরিবেশগত সমস্যাগুলির জন্যও উল্লেখযোগ্য দায়িত্ব বহন করে।

চীনের প্রতি জার্মান সরকারের কৌশল বাস্তবায়নের একটি উপায় হিসেবে, জার্মান চীন পরিবেশ ফোরাম শুধুমাত্র আন্তঃসরকারি সহযোগিতাকে উৎসাহিত করতে সাহায্য করে না,কিন্তু ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের মধ্যে সহযোগিতাও প্রচার করে, বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়, পরিবেশগত সংস্থা এবং নাগরিক সমাজ।

জার্মান-চীন পরিবেশগত ফোরামের স্থান হিসেবে সাংহাইয়ের নিকটবর্তী তাইক্যাং তার শিল্প উদ্যান এবং টেকসই উন্নয়ন উদ্যোগের জন্য বিখ্যাত।অনেক জার্মান কোম্পানি এখানে কারখানা স্থাপন করেছে।, যার মধ্যে বড় এবং ছোট উভয়ই রয়েছে।

চীন সফরের সুযোগ গ্রহণ করে লেমকে চীনে সক্রিয় জার্মান কোম্পানিগুলির সঙ্গেও আলোচনা করেন।এবং অর্থনৈতিক শক্তিগুলোকে অবশ্যই ভালো উদাহরণ দিতে হবে এবং দিতে পারে।আমরা বিশ্বকে দেখাতে পারি যে জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি আমরা অর্থনৈতিক সাফল্যও অর্জন করতে পারি।